কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় জলমহালে বাঁধ দেয়াকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষে সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় একপক্ষের গুলিতে চার শিশুসহ ছয়জন আহত হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকেল সোয়া ৩টার দিকে উপজেলা সদরের সোয়াইজানি এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। গুলিবিদ্ধ ছয়জনের বাইরে আহত হয়েছেন আরও চারজন।
স্থানীয় লোকজন জানান, নিকলী উপজেলা সদরের সোয়াইজানি জলমহালটি ছয় বছরের জন্য ইজারা নিয়েছেন জাফরাবাদ গ্রামের সাদ্দাম হোসেন। কিছু দিন আগে ষাইটধার খালিসাহাটি গ্রামের যুবলীগ নেতা নাজিউর রহমান সোহেল ওই জলমহালে বাঁধ দিয়ে পুকুর খননের কাজ শুরু করেন। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিল।
তারা আরও জানান, এর জের ধরে মঙ্গলবার বিকেলে সোহেল লোকজন নিয়ে জলমহালে গিয়ে সাদ্দাম ও তার ভাইকে মারধর করেন। পরে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। ঘটনায় পর থেকে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সংঘর্ষের সময় একপক্ষ শটগানের গুলি ছুড়লে পাশের মাঠে খেলা করতে থাকা চার শিশু, এক তরুণ ও এক তরুণী আহত হয়।
গুলিবিদ্ধ চার শিশু হলো জাফরাবাদ এলাকার নুরুল ইসলামের আট বছরের ছেলে মো. রিয়ান, মুর্শেদ মিয়ার ৯ বছরের মেয়ে শ্রাবন্তী, আল-আমিন মিয়ার চার বছরের ছেলে তুহিন, আশরাফুল ইসলামের ছয় বছরের ছেলে নিশা। গুলিবিদ্ধ তরুণ একই এলাকার মো. আকাশ ও শামসুল ইসলামের মেয়ে তিশা।
তাদের সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তার মধ্যে আকাশকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কিশোরগঞ্জে পাঠানো হয়েছে।
নিকলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম সিদ্দিকী নিউজবাংলাকে জানান, জলমহাল নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের কাছে করা অভিযোগের বিষয়ে জানতে মঙ্গলবার প্রতিপক্ষ সাদ্দামের কাছে গিয়েছিলেন সোহেল। এ নিয়ে দুই পক্ষ কথা-কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে।
ওসি আরও জানান, এ সময় একটি পক্ষ ছররা গুলি ছুড়লে পাশে খেলতে থাকা শিশুরা আহত হয়। কোন পক্ষ গুলি ছুড়েছে, সেটা তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।